বাক্‌ ১১০ : মনোজ দে




ঋণী
...

১.
শুকিয়ে যাওয়ার পর
যে রেখা প্রকাশ্য, আঙুলে রেখেছ তারে?
ঠোঁট দিও। শুঁষে নিও সমস্ত পরাগ
এমন দুঃস্বপ্ন দেখলে
ছুটে যেও জমিটির কাছে
আদর লাগাও। দাও ঠোঁট
চুম্বনে চুম্বনে শুভ করে তুলো    তাকে


২.
যাকিছু স্মৃতির খোদাই করেছি
ভেঙে যাওয়া বালিকার বিনীত অক্ষর
মুঠো করে আনি। ভিজি স্নানরঙে
প্রথম আলাপ। ভাষার দোহাই দিয়ে
                                  পরস্পরের প্রবেশ
খেদ নেই। কোন খেদ নেই। শুধু
দীর্ঘ চুল আরও ঋণী করে তোলে


৩.
রাগ ভেঙে চলেছে কিশোর
আঘাতে আঘাতে স্থপতি বানালে
যুদ্ধ শেষ। চিহ্ন উড়ে যায়
মেলায় পুতুল কিনতে এসে
আমায় দরদাম করছ কেন


                                                                                   (চিত্রঋণ : Linnea Strid)

৮টি মন্তব্য:

  1. বাহ। দারুণ। বিশেষ করে শেষটুকু। মনে থাকবে ওটুকু...

    উত্তরমুছুন
  2. পড়লাম। তিন টুকরা কবিতা। প্রতি টুকরো পাঠে পাথরে পাথর ঘষে দেবার পর যে স্ফুলিঙ্গ তা টের পেলাম।

    উত্তরমুছুন
  3. ১ সবচেয়ে বেশি টানলো...

    উত্তরমুছুন
  4. এক অন্যরকম স্বাদ পাই আপনার কব‌িতায়। এবারও প‌েলাম।

    উত্তরমুছুন
  5. Prathame porlam. Vablam. Abar porlam.

    উত্তরমুছুন