বাক্‌ ১১০ : মাসুদার রহমান




বনভোজন

১.
জঙ্গলের বাইরে পিকনিকের গাড়ি গাড়িটিতে কেউ নেই

জঙ্গলের ভিতরে এসে বোঝা গেল-
জঙ্গলে ঢুকে পিকনিকের ছেলেময়েগুলো সারিসারি গাছ হয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে
তাদের কলহাস্য এখন ঝরাপাতা; বাতাসে শব্দ করে

বড় এক গিরগিটির পিছে ছুটে যাওয়া ছোটছোট দুতিনটে গিরগিটি
ওরা বুঝি পিকনিকের গাড়িটির স্ক্রু

.

টেলকম পাউডারের গন্ধ’ ! চমকে উঠেছি
নির্জন বনের মধ্যে কোন নারী !

খুঁজি তাকে

দেখি, এক সবুজ ফড়িং
পাতার উপরে বসে হাওয়ায় দুলছে



বাড়ি ফেরা

বাইকে যেতে ঘোড়াটির দেখা পেলাম
ঘাস খাচ্ছে নাকি ঘাসের আড়ালে মুখ রেখে হাসছে ঘোড়াটি

মাঠভর্তি অসম্পূর্ণ অন্ধকার ভয় আকাশে তাকালাম-
শরীরে জল নিয়ে ছলাৎছলাৎ চাঁদ
দিঘীটিও জোছনায় জ্বলজ্বলে

ভরামাঠ জোছনা পান করে ফিরে এসে দেখি,
আমার বাইকটি খেয়ে নিয়ে ঘোড়াটি দাঁড়িয়ে রয়েছে
আমি ওর পিঠে বসে ধুধু মাঠ পাড়ি দিয়ে বাড়ি আসছি

এই ফেরা তোমরা দেখতে পাচ্ছ কবিতার ভেতর দিয়ে


                                                                (চিত্রঋণ : Roy De Forest)

৭০টি মন্তব্য:

  1. হ্যাঁ। এই ফেরা আমরা দেখতে পাচ্ছি কবিতার মধ্য দিয়ে...।

    উত্তরমুছুন
  2. মুগ্ধ বনভোজনে মন পড়ে থাক

    উত্তরমুছুন
  3. বাহ ,বেশ সুন্দর ! চলুন আরো লিখুন আমাদের জন্য ।

    উত্তরমুছুন
  4. চমৎকার! আমরাও দেখলাম কবি মাসুদার রহমানকে কবিতার পাতায় সবুজ ফড়িং হয়ে গন্ধ ছড়াচ্ছেন।

    উত্তরমুছুন
  5. ‘‘শরীরে জল নিয়ে ছলাৎছলাৎ চাঁদ/দিঘীটিও জোছনায় জ্বলজ্বলে’’ অসাধারণ উপমা। অসাধারণ .........

    উত্তরমুছুন
  6. অনিন্দিতা গুপ্ত রায়৫ মে, ২০১৭ এ ৮:২৩ AM

    খুব ছুঁয়ে যাওয়া

    উত্তরমুছুন
  7. এই মন্তব্যটি লেখক দ্বারা সরানো হয়েছে।

    উত্তরমুছুন
  8. কল্পের ভেতর দৃশ্য ছলাতৎ করে ওঠে

    উত্তরমুছুন
  9. মাঠভর্তি অসম্পূর্ণ অন্ধকার। ভয়। এক ন‌িদারুণ ভাল‌োলাগায় আব‌িষ্ট হলাম। ভাল‌ো লাগল দাদা।

    উত্তরমুছুন
  10. "আমার বাইকটি খেয়ে নিয়ে ঘোড়াটি দাঁড়িয়ে রয়েছে"

    উত্তরমুছুন
  11. দারুণ লাগে তোমার কল্পনা

    উত্তরমুছুন
  12. বাড়ি ফেরা কিংবা স্বপ্নঘোড়া, অনবদ্য কল্পখেলা, স্বপ্নখেলা, বরাবর আপনার নিজস্ব গ্রহের মতো ঝোড়ো সবুজ। বনভোজন যে সারিনি, তা নয়, বরং পাতাদের সঙ্গে আলোর খিদে মেটালাম ফিরে এসে।

    উত্তরমুছুন
  13. মুগ্ধতা আমার,প্রিয় কবি। অসাধারণ প্রকাশভঙ্গি।

    উত্তরমুছুন
  14. এই মন্তব্যটি লেখক দ্বারা সরানো হয়েছে।

    উত্তরমুছুন
  15. আপনার আমার খুন করতে ইচ্ছে করে! এতো ভালো কবিতা লেখার অপরাধে। ভালোবাসা ভাই

    উত্তরমুছুন
  16. অসম্ভব সুন্দর দুটি কবিতা পড়ালেন মাসুদার। বনভোজন, গিরগিটি, ছেলেমেয়েদের গাছ হয়ে থাকা …এইসব ইমেজগুলো চোখের সামনে এসে দাঁড়ায়। আর কবিতা-শরীর মুগ্ধতা আদায় করে নেয়। বাড়ি ফেরাতেও সেই ছবির খেলা। ঘাসের আড়ালে ঘোড়াটিকে মুখ লুকিয়ে হাসতে দেখছি যেন। মাঠভর্তি ছলাত্‍ছল চাঁদ, দীঘিজল, জোত্‍স্না সবকিছুই যেন ফেরাকে রোমাঞ্চিত করছে। হ্যাঁ, আমরাও দেখতে পাচ্ছি কবিতার মধ্যে দিয়েই সেই ফেরাকে। ওহ্‍ মাসুদার, আপনি কী করে এত ভালো লেখেন কে জানে ! একবার অন্তত আপনার এই লেখার হাতটি স্পর্শ করতে ইচ্ছে করে।

    উত্তরমুছুন
  17. অপরূপ শব্দসারি, অভিনব ভাবনার চলন,শেষ টানে অনিবার্য বাস্তবের ভূমিতে দাঁড়করিয়ে দেয় পাঠককে। সাবলীল পাঠ পরিক্রমা কবিতাগুলির সম্পদ। পাঠ শেষে চুপ করে ভাবি কিছুক্ষণ, কী পড়লাম?

    উত্তরমুছুন
  18. আপনার কবিতাদুটি খুব ভালো লাগলো!!! চমৎকার আপনার ভাষা! আরো পড়তে চাই।

    উত্তরমুছুন
  19. দারুন চিত্রময়তা... আপনার লেখার আমি ভক্ত, দাদা

    উত্তরমুছুন
  20. ধন্যবাদ, পাঠ ও ম্নতব্যের জন্য@Basudev Ghosh

    উত্তরমুছুন
  21. জঙ্গলের বাইরে পিকনিকের গাড়ি। তাতে কেউ নেই
    ভেতরে এসে বোঝা গেল-
    ওরা সব সারি গাছ
    কলহাস্য ঝরাপাতা; শব্দ বাতাসে

    বড় এক গিরগিটির পিছে ছুটে যাওয়া...

    গাড়িটির স্ক্রু

    উত্তরমুছুন
  22. এই ফেরা তোমরা দেখতে পাচ্ছ কবিতার ভেতর দিয়ে

    সবশেষে এই লাইনটির খুব কি প্রয়োজন ছিল ?

    উত্তরমুছুন
  23. বনভোজন ২ ও বাড়ি ফেরা দুটি লেখায় মুগ্ধ হলাম|

    উত্তরমুছুন
  24. ঘোড়া বাইক খেয়ে ফেলেছে। ভাবা যায় না। অসাধারণ।

    উত্তরমুছুন
  25. ৩ টি কবিতাই মুগ্ধ করে দিল মাসুদার দা! এমন কবিতাই যে আমার প্রিয়!

    উত্তরমুছুন
  26. 'বাড়ি ফেরা'- ক্যানভাস জোড়া তৈলচিত্রের মত।

    উত্তরমুছুন
  27. সাবলীল কথন

    কবিতার ভেতর চোখ

    উত্তরমুছুন
  28. সাবলীল কথন

    কবিতার ভেতর চোখ

    উত্তরমুছুন
  29. সুন্দর লেখা৷ কবিকে শুভেচ্ছা।

    উত্তরমুছুন