বাক্‌ ১১০ : শান্তনু বেজ




ফোনে অ-প্রিয় অনুপম

"বিস্কুটের মতো নেতিয়ে গ্যাছে তোমার স্তন "--এটা তুমি আমার প্রাক্তন হলে বলতাম। রাগ আর রাগী, এদের আমি দাম্পত্য ভাবি। যাইহোক, তুমি তো এখন অ-ক্ষতি কবি। তোমার নির্দ্বিধার মেয়াদ কিছু পারিবারিক বিকেল বারান্দা । তারপরই তুমি ফাঁকা মাঠের ফুল।তীব্র পছন্দের বনফুল নও। তোমার দৈনিক বলতে একঠুোঁটো দ্রাঘিমার প্রতি এক নির্বল ভূগোল। তোমার ভরণপোষণে ইতিহাস ঘষে ঘষে ছিঁড়েছে সব সবুজ উষ্ণশিরা। তোমার কবিতার ভিতরে এখন মদের দোকানে দেখা আধঘণ্টা হাতের রেখাফল রাখা আছে। অমোঘ ঘেঁটুফুল আর নেই সেখানে।  ওটাকে আমি বাস্টার্ড বলিনা। বলি জঘন্য সাম্প্রদায়িকতা। খবর পড়, দেখবে বাড়ির মেয়ে-বৌরা আজ স্তনের সমস্যা নিয়ে খোলাখুলি কথা বলে। মেয়ে-বৌরা ক্রমশ এ ব্যাপারে সাহসী হচ্ছে; আর তুমি জাল যত্নের শীর্ণকায় ফিলিংস-পোষ্য।  



'পায়রা ও ফোন ' V's   আপেল

আমরা দশজন  ফোনের ভিতরে  গতবছর যেকটা পায়রা উড়িয়ে ছিলাম, তার কিস্যা খুব ভোরে মনে পড়ে যায়। সেই নিয়ে একটা কবিতা লেখার ইচ্ছা টের পাই ভেতরে। সবে লিখেছি, " পায়রা ওড়ে ফোনে ফোনে, ব্রহ্ম দোলে  কানে কানে / তোমার পায়রা সাদা / আমার পায়রা কালো / ব্রিটেনের পায়রা'র পালকের রঙ / আমার বাংলার গাজনের সঙ ...."। তখনই মা কাটা আপেলের টুকরোগুলো সবাইকে দিয়ে আসতে বলে। কাজ সারার পর আমি কবিতাটি আর লিখতে পারিনি। আজ কবিতাটি নিয়ে আবার যখন বসলাম, দেখি ঘরের কোণে এক আপেলের টুকরোয় একশো পিঁপড়ের কামড়। তারপর থেকে আমি আর 'পায়রা ও ফোন' নিয়ে কবিতা লিখতে পারিনি; বারবার আপেল এসে গ্যাছে কবিতার মাঝে।


                                                                                  (চিত্রঋণ : karl haglund)

২৩টি মন্তব্য:

  1. দ্বিতীয়টা আমার সামান্য বোধে রণ।রঙীন।প্্রথমটা এগোতে এগোতে দারুণ acccelarate করলো।

    উত্তরমুছুন
  2. বারবার আপেল এসে গেছে কবিতার মাঝে,,,,, দুটো লেখনী-ই অপূর্ব মুগ্ধতার,,,,

    উত্তরমুছুন
  3. মুগ্ধতা.....নেশার আরো জোগান চাই

    উত্তরমুছুন
  4. মনের ক্ষিদে বেড়ে গেলো প্রবল

    উত্তরমুছুন
  5. আবোদা অস্বস্তি গুলোকে মানুষ নিজস্ব সৃজন থেকে দূরে রাখতে চায়,omit করে দেয় পারলে...
    বয়সকালের ব্রণের মত দুখান চরম অস্বস্তি দিয়ে এরকম কবিঘর নামিয়ে ফেলা যায়, জানা ছিল না :)

    উত্তরমুছুন
  6. আচ্ছা শান্তনু, বিস্কুটের মতন স্তন নেতিয়ে গেলেও তো চলে, চকোলেট মাখানো হয় যদি ! ফোনের ভেতরে ওড়ানো পায়রা একা ওড়ালে ভালো হতো ।

    উত্তরমুছুন
  7. আহা । অতীব সুন্দর !
    তবে যদি স্তন না ন্যাতাতো, আরো ভালো লাগত (স্বীকারোক্তি)
    পায়রার স্তন ফোনে বন্দী এখনও , হাতছানি শুধু,
    সন্ধে হয়নি যেন !

    উত্তরমুছুন
  8. এই মন্তব্যটি লেখক দ্বারা সরানো হয়েছে।

    উত্তরমুছুন
  9. শান্তনু দাদা, আমাদের কিন্তু চ্যনেল আছে একটা। কি নাম দি বল দেখি, চ্যনেল টার? যেখানে অনেকের কবিতা আর শোনা যাচ্ছে না? আমি ই বলি, বাক। ওটাই আমাদের চ্যানেল... আর চ্যানেল থাকবে, একটু চ্যানেল তো আছে বলেই... আমাদের কেউ কিছু খারাপ বলে না, সব শিখিয়ে দেয় নাকি...@ অভিষেক

    উত্তরমুছুন
  10. 'বিস্কুটের মতো নেতিয়ে গেছে তোমার স্তন' খুব অবাক হলাম! আনন্দ পেলাম এমন উপমায়! উপমাকে ধ্বস্ত করে দেওয়া এ যেন। ' ফোনে অপ্রিয় অনুপম' অসামান্য লাগলো। ২য় কবিতাটি পায়রা এবং আপেল বার বার অন্যতর এক উদ্ভাস নিয়ে এলো।

    উত্তরমুছুন
  11. বরাবরই ভাল‌ো লাগ‌ে আপনার ল‌েখা। এবার‌েরগুল‌ো সেরা লাগল।

    উত্তরমুছুন
  12. আমরা গত বছর ফোনের ভিতর যেকটা পায়রা উড়িয়ে ছিলাম থেকে বিস্কুটের মতো নেতিয়ে গ্যাছে তোমার স্তন-এর দিক যাচ্ছি। পর্যায়ের বিপরীতে। আভ্যন্তরীণ বিষয় ও বিন্যাস আপেলের টুকরো, যেখানে প্রথম শর্তই হল পিঁপড়ে। অথবা যেখানে প্রথম শর্তই হল শর্ত হীনতা!

    উত্তরমুছুন
  13. প্রথম উপমাটি মনে গেঁথে গেলো...অসাধারণ

    উত্তরমুছুন
  14. প্রথম পংক্তিটি ... শিরদাঁড়া মেরুদণ্ড ... সব

    উত্তরমুছুন
  15. প্রথম কবিতাটা ভাল লেগেছে ৷

    উত্তরমুছুন
  16. পায়রা ও ফোন vs আপেল জাস্ট ফাটাফাটি।আলাপের অপেক্ষায় থাকছি

    উত্তরমুছুন
  17. মনের আকাঙ্ক্ষা আরো বেড়ে গেলো কবির প্রতি

    উত্তরমুছুন